1
তবে যিহুদীদের বিশেষ সুবিধা কি আছে? এবং ত্বকছেদ করেই বা লাভ কি?
2
এটা সব দিক থেকে মহান। প্রথমত, ঈশ্বরের প্রকাশিত বাক্যে তাদের বিশ্বাস ছিল।
3
কারণ কোনো যীহূদী যদি অবিশ্বাসী হয়ে থাকে তাহাতেই বা কি? তাদের অবিশ্বাস কি ঈশ্বরের বিশ্বস্ততাকে অচল করবে?
4
তার কোনো মানে হয় না। বরং, এমনকি প্রতিটি মানুষ মিথ্যাবাদী হলেও ঈশ্বরকে সত্য বলে স্বীকার করা হোক। যেমন বাইবেলে লেথা আছে, “তুমি হয়ত তোমার বাক্যে ধার্মিক বলে গণ্য হও , এবং তুমি বিচারের সময় জয়ী হবে।”
5
কিন্তু ;আমাদের অধার্মিকতা ঈশ্বরের ধার্মিকতা বুঝতে সাহায্য করে, আমরা তখন কি বলব? ঈশ্বর অধার্মিক নয় , যিনি ক্রোধে প্রতিফল দেন, তিনি কি অন্যায় করেন?- আমি মানুষের বিচার অনুযায়ী বলছি।
6
ঈশ্বর কখনো অন্যায় করেন না। কেননা ঈশ্বর কেমন করে জগতের মানুষকে বিচার করবেন?
7
কিন্তু যদি আমার মিথ্যার দ্বারা ঈশ্বরের সত্যতা প্রকাশ পায় এবং তাঁর গৌরব উপচিয়া পড়ে, তবে আমি এখনও পাপী বলে বিচারিত হচ্ছি কেন?
8
আর কেন বলব না ? যেমন আমাদের অনেক মন্দ আছে এবং যেমন তারা নিন্দা করে বলে যে , আমরা বলে থাকি- ‘চল আমরা খারাপ কাজ করি, তবে যেন ভালো ফল পাওয়া যায়’? তাদের জন্য বিচার অবশ্যই আছে। কেউ ধার্মিক নয়
9
তারপর কি হলো? আমাদের অবস্থা কি অন্যদের থেকে ভালো? তা মোটেই নয়। কারণ আমরা এর আগে যীহুদী ও গ্রীক উভয়কে দোষ দিয়াছি যে, তারা সবাই পাপের মধ্যে আছে।
10
যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে, “ধার্মিক কেউ নাই, এক জনও নাই |
11
এমন কেহই নাই, যে সে বোঝে। কেহই এমন নাই যে সে ঈশ্বরের খোঁজ করে।
12
তাহারা সকলে বিপথে গিয়াছে , তারা একসাথে অকেজো হয়েছে; এমন কেহই নাই , যে ভালো কাজ করে না, এতজনের মধ্যে এক জনও নাই।
13
তাদের গলা খোলা কবরের মত। তাদের জিভ ছলনা কারী। তাদের ঠোঁটের নিচে সাপের বিষ থাকে।
14
তাদের মুখ অভিশাপ ও খারাপ কথায় ভরপুর;
15
তাদের পা রক্তপাতের জন্য জোরে চলে।
16
তাদের পথে ধ্বংস ও বিনাশ থাকে।
17
তাদের কোনো শান্তির পথ জানা নাই।
18
তাদের চোখে কোনো ঈশ্বর ভয় নাই।”
19
এখন আমরা জানি যে, আইন যা কিছু বলে তা আইনের মধ্যে আছে এমন লোককে বলেছে; যেন সকল মানুষের মুখ বন্ধ এবং সব জগতের মানুষ ঈশ্বরের বিচারের মুখোমুখি হয়।
20
এর কারণ হলো আইনের কাজ দিয়ে কোন মাংসই তাঁর সামনে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হবে না। কারণ আইন দিয়ে পাপের চেতনা আসে।
21
কিন্তু এখন আইন কানুন ছাড়াই ঈশ্বরের ধার্মিকতা প্রকাশ হয়েছে, আর আইন ও ভাববাদীর দ্বারা তার জন্য সাক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে।
22
ঈশ্বরের সেই ধার্মিকতা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসের দ্বারাই যারা সবাই বিশ্বাস করে তাদের জন্য। কারণ সেখানে কোনো বিভেদ নেই।
23
কেননা সকলেই পাপ করেছে , এবং ঈশ্বরের গৌরব-বিহীন হয়েছে,
24
সকলেই বিনামূল্যে তাঁর অনুগ্রহে, খ্রীষ্ট যীশুতে প্রাপ্য মুক্তির দ্বারা ধার্মিক বলে গণিত হয়েছে |
25
তাঁকে ঈশ্বর তাঁর রক্তের বিশ্বাসের দ্বারা প্রায়শ্চিত্ত করেছেন অর্থাৎ তাঁর জীবন উৎস্বর্গ করেছেন , যেন তিনি নিজের ধার্মিকতা দেখান কেননা ঈশ্বরের সহ্যের গুনে মানুষের আগের পাপগুলি ক্ষমা করে কোন শাস্তি দেন নি।
26
আর এইগুলি হয়েছে যেন নিজের ধার্মিকতা দেখান, কারণ যেন তিনি নিজে ধার্মিক থাকেন এবং যে কেউ যীশুতে বিশ্বাস করে তাকেও ধার্মিক বলে গণিত করেন।
27
তবে গর্ব কোথায় থাকলো ? তা দূর হয়েছে। কিন্তু কিসের জন্য নাই ? কাজের জন্য কি ? না ; কিন্তু বিশ্বাসের আইনের জন্যই।
28
কেননা আমাদের সমাধান হলো আইন কানুনের কাজ ছাড়াই বিশ্বাসের দ্বারাই মানুষ ধার্মিক বলে বিবেচিত হয়।
29
ঈশ্বর কি কেবল যীহূদীদের ঈশ্বর? তিনি কি অযিহূদীয়দেরও ঈশ্বর নন? হ্যাঁ, তিনি অযিহূদীদেরও ঈশ্বর।
30
কেননা ঈশ্বর এক, তিনি ছিন্নত্বক লোকদেরকে বিশ্বাসের জন্য এবং অচ্ছিন্নত্বক লোকদেরকে বিশ্বাসের দ্বারা ধার্মিক বলে গণিত করবেন।
31
তবে আমরা কি বিশ্বাস দিয়ে আইন কানুন বন্ধ করেছি? তা কখনও না; বরং আমরা আইন কানুন প্রমাণ করেছি।