অধ্যায় ২

1 অতএব, মানুষেরা তোমাদের উত্তর দেবার কোনো পথ নেই, তোমরা যে বিচার করেছ, কারণ যে বিষয়ে তোমরা পরের বিচার করে থাক, সেই বিষয়ে নিজেকেই দোষী করে থাক | কেননা তোমরা যে বিচার করছ, তোমরা সেই মত আচরণ করিয়া থাক। 2 আর আমরা জানি যে, যারা এই সব কাজ করে, সত্য অনুসারে ঈশ্বর তাদের বিচার করেন। 3 হে ভাইগণ, যারা এই সব কাজ করে তুমি যে তাদের বিচার কর , আবার তুমিও সেই একই কাজ কর। তবে তুমি কি ঈশ্বরের বিচার থেকে রেহাই পাবে? 4 অথবা তুমি কি জানো তাঁর মধুর ভাব ও ধৈর্য্য ও চিরসহিষ্ণুতা অবহেলা করিতেছ? তুমি কি জানো না ঈশ্বরের মধুর ভাব তোমাকে মন পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যায়? 5 কিন্তু তোমার এই কঠিন মনোভাবের জন্য তুমি পাপ থেকে মন পরিবর্তন করতে চাও না, সেজন্য তুমি নিজে নিজের জন্য এমন ঈশ্বরের রাগ জমা করছ, যা হিংসার ও ঈশ্বরের ধার্মিকতার প্রকাশ হবে। 6 তিনি প্রত্যেক মানুষকে তার কাজ অনুসারে ফল দেবেন, 7 যারা ধৈর্য্যের সঙ্গে ভালো কাজ করে গৌরব, সম্মান এবং সততায় অটল তারা অনন্ত জীবন পাবে। 8 কিন্তু যারা নিজেদের ইচ্ছায় চলে, যারা সত্যকে অবাধ্য করে এবং অধার্মিকতার বাধ্য হয়, তাদের উপর ক্রোধ ও রোষ, দুঃখ ও অভাব আসবে; 9 এবং দুঃখ কষ্ট ও দুর্দশা প্রতিটি মানুষ যারা খারাপ কাজ করেছে প্রথমে যীহূদীর এবং পরে গ্রীকের লোকের উপরে আসবে। 10 কিন্তু যারা ভালো কাজ করছে প্রতিটি মানুষের উপর প্রথমে যিহুদীদের উপর পরে গ্রীকেরও উপর গৌরব, সমাদর ও শান্তি আসবে। 11 কেননা ঈশ্বর পক্ষপাতিত্ব করেন না। 12 কেননা যত লোক আইন কানুন ছাড়া পাপ করেছে, আইন কানুন ছাড়াই তারা বিনাশ হবে; এবং যারা আইন কানুনের ভিতরে থেকে পাপ করেছে তাদের আইন কানুনের মাধ্যমেই বিচার করা হবে। 13 কারণ যারা নিয়ম কানুন শোনে তারা যে ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক ,এমন নয়, কিন্তু যারা নিয়ম কানুন মেনে চলে তাদেরকেই ধার্মিক বলে ধরা হবে। 14 কারণ যখন পরজাতীয়দের কোনো নিয়ম কানুন থাকে না, আবার তারা যখন সাধারণত নিয়ম কানুন অনুযায়ী আচার ব্যবহার করে, তখন কোন নিয়ম কানুন না থাকলেও নিজেরাই নিজেদের নিয়ম কানুন হয়; 15 এটির দ্বারা তারা দেখায় নিয়ম কানুন মতে যা করা উচিত তা তাদের হৃদয়ে লেখা আছে, তাদের বিবেকও তাদের সাথে সাথে প্রমাণ দেয় ,এবং তাদের নানা চিন্তাধারা পরস্পর হয় তাদেরকে দোষী করে, না হয় তাদের পক্ষে সমর্থন করে- 16 যে দিন ঈশ্বর আমার প্রচারিত সুসমাচার অনুযায়ী খ্রীষ্ট যীশুর দ্বারা মানুষদের গোপন বিষয়গুলি বিচার করিবেন। 17 যদি তুমি নিজেকে যীহুদী নামে পরিচিত থাক তবে আইন কানুনের উপর নির্ভর কর , এবং ঈশ্বরের কাছে ধন্য হও। 18 তাঁর ইচ্ছা জানো এবং যেগুলি আলাদা এবং যা আইন কানুনে নির্দেশ দেওয়া আছে সেই সব যাচাই করে দেখ । 19 যদি তুমি নিশ্চিত মনে কর , যে তুমিই অন্ধদের পথ-দর্শক এবং আলো , যারা অন্ধকারে বাস করছে, 20 বোকাদের সমাধানকারী, শিশুদের শিক্ষক এবং তোমার আইন কানুনের ও সত্যের জ্ঞান আছে। 21 যদি তুমি অন্যকে শিক্ষা দাও, তুমি কি নিজেকে শিক্ষা দাও না? তুমি যখন চুরি করিতে নাই বলিয়া প্রচার কর, তুমি কি চুরি করো? 22 তুমি যে ব্যভিচার করিতে নাই বলেছ, তুমি কি ব্যভিচার করেছ? তুমি যে মূর্তিপূজা ঘৃণা করেছ , তখন কি তুমি মন্দির থেকে ডাকাতি করেছ? 23 তুমি যে নিয়ম কানুনে আনন্দ ও গর্ব করছ, তুমি কি নিয়ম কানুন অমান্য করে ঈশ্বরের অনাদর করছ? 24 কারণ ঠিক যেমন বাইবেলে লেখা আছে, সেই রকম তোমাদের মাধ্যমে অন্যজাতিদের মধ্যে ঈশ্বরের নামের নিন্দা হচ্ছে।’ 25 যদি তুমি আইন কানুন মেনে চল তবে ত্বকছেদ করে লাভ আছে; কিন্তু যদি তুমি নিয়ম কানুন অমান্য কর , তবে তোমার ত্বকছেদ অত্বকছেদ হয়ে পড়ল। 26 অতএব, যদি অত্বকছেদ লোক নিয়ম আইন কানুন সব পালন করে, তবে তার অত্বকছেদ কি ত্বকছেদ বলে ধরা হবে না? 27 যার ত্বকছেদ করা হয়নি এমন লোক যদি নিয়ম কানুন মেনে চলে, তবে তোমার কাছে লিখিত আইন কানুন থাকা ও ত্বকচ্ছেদ সত্ত্বেও যদি তুমি নিয়ম কানুন অমান্য কর, সে লোকটি কি তোমার বিচার করবে না? 28 কারণ বাইরে থেকে যে যিহুদী সে যিহুদী নয় , এবং দেহের বাইরে যে ত্বকছেদ তাহা আসল ত্বকছেদ নয়। 29 কিন্তু অন্তরে যে যিহুদী সেই আসল যিহুদী এবং হৃদয়ের যে ত্বকছেদ যা অক্ষরে নয় , কিন্তু আত্মায় হলো ত্বকছেদ। সেই মানুষের প্রশংসা মানুষ থেকে হয় না ,কিন্তু ঈশ্বর থেকেই হয়।