1
তবে আমাদের আদিপিতা অব্রাহাম এর সম্পর্কে আমরা কি বলিব ? দেহ অনুসারে তিনি কি পেয়েছেন?
2
কেননা অব্রাহাম যদি কাজের জন্য ধার্মিক বলিয়া গণ্য হয়ে থাকে, তবে তাহার গর্ব করার বিষয় আছে; কিন্তু ঈশ্বরের সামনে নয়।
3
কারণ পবিত্র বাইবেল কি বলে? “অব্রাহাম ঈশ্বরকে বিশ্বাস করলেন এবং সে জন্যই তাঁকে ধার্মিক বলিয়া গণ্য করা হইল।”
4
আর যে কাজ করে তার বেতন দয়া করে দেওয়া হয় না, এটা তার পাওনা বলেই দেওয়া হয়।
5
আর যে কাজ করে না কিন্তু তাঁর উপরে বিশ্বাস করে, যিনি ভক্তিহীনকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন, তার বিশ্বাস ধার্মিকতা বলিয়া গণ্য হয়।
6
দায়ূদও সেই মানুষকে ধন্য বলেছেন, যার জন্য ঈশ্বর কাজ ছাড়াই ধার্মিক বলে হসিাব করে
7
বলেছেন, “ধন্য তাহারা, যাদের অধর্ম সকল ক্ষমা করা হয়েছে , যাদের পাপ ঢাকা দেওয়া হয়েছে;
8
ধন্য সেই মানুষটি যাহার পাপ প্রভু ক্ষমা করে দিয়েছেন।”
9
এই ‘ধন্য’ শব্দ কি ছিন্নত্বক লোকদের জন্যই বলা হয়েছে, না অচ্ছিন্নত্বক লোকদের জন্যও বলা হয়েছে? কারণ আমরা বলি, "অব্রাহামের জন্য তাঁর বিশ্বাসকে ধার্মিকতা বলিয়া গণ্য হয়েছিল।"
10
সুতরাং, কেমন করে তা গণ্য করা হয়েছিল? ত্বকছেদ অবস্থায় না অত্বকছেদ অবস্থায়? ত্বকছেদ অবস্থায় নয়, কিন্তু অত্বকছেদ অবস্থায়।
11
তিনি ত্বকছেদ চিহ্ন পেয়েছিলেন, এটি ছিল সেই বিশ্বাসের ধার্মিকতার সীলমোহর, যখন অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় ছিলেন তখনও তাঁর এই বিশ্বাস ছিল | কারণ ছিল যে, যেন অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় যারা বিশ্বাস করে, তিনি তাদের সবার পিতা হন, যেন তাদের জন্য সেই ধার্মিকতা গণ্য হয়|
12
আর যেন তিনি ত্বকছেদ মানুষদেরও পিতা হন| অর্থাৎ; যারা ত্বকছেদ ব্যক্তি তাদের নয়, কিন্তু ছিন্নত্বক অবস্থায় পিতা অব্রাহামের উপর বিশ্বাস রেখে যে নিজ পায়ে চলে, তিনি তাহাদেরও পিতা।
13
কারণ আইন কানুনের জন্য যে , এই প্রতিজ্ঞা অব্রাহাম এবং তাঁর বংশধরকে করেছিলেন তা নয়, কিন্তু বিশ্বাসের ধার্মিকতার দ্বারা তারা এই জগতের অধিকারী হবার প্রতিজ্ঞা করা হয়েছিল।
14
কারণ যারা আইন কানুন মেনে চলে এবং তারা যদি উত্তরাধিকারী হয় তবে বিশ্বাসকে অকেজো করা হইল এবং সেই প্রতিজ্ঞাকে বন্ধ করা হল।
15
কারণ আইন কানুন ক্রোধ নিয়ে আসে , কিন্তু যেখানে আইন কানুন নাই সেখানে অবাধ্যতাও নাই।
16
এই জন্য এটা বিশ্বাসের দ্বারা হয়, সুতরাং যেন দয়া অনুসারে হয়; এর উদ্দেশ্যে হলো, যেন সেই প্রতিজ্ঞা সব বংশের জন্য হয়। শুধুমাত্র যারা আইন কানুন মেনে চলে তারা নয়, কিন্তু যারা অব্রাহামের বিশ্বাসী বংশের জন্য অটল থাকে; (যিনি আমাদের সবার পিতা,
17
যেমন লেখা আছে, “আমি তোমাকে বহু জাতির পিতা করলাম,”) সেই ঈশ্বরের সাক্ষাৎেই অব্রাহাম ছিলেন যাকে তিনি বিশ্বাস করলেন, তিনি হলেন ঈশ্বর , যিনি মৃতদের জীবন দেন এবং যাহা নাই তাহাই অছেন বললেন |
18
অব্রাহামের আশা না থাকা সত্ত্বেও তিনি বিশ্বাস করলেন, যেন ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে তিনি অনেক জাতির পিতা হন। আর সেই বাক্য অনুসারে অব্রাহাম অনেক জাতির পিতা হয়েছিলেন।
19
আর বিশ্বাসে দুর্বল হইলেল না, যদিও তাঁর বয়স প্রায় একশো বছর ও তার আপন শরীর মৃত প্রায় এবং সারার গর্ভ ধারন ক্ষমতা শেষ হয়ে গিয়েছিল।
20
কিন্তু ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার কারণে অব্রাহাম অবিশ্বাস বসত সন্দেহ করলেন না , কিন্তু বিশ্বাসে সাবলিন হয়ে ঈশ্বরের গৌরব করলেন,
21
এবং তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে, ঈশ্বর যা প্রতিজ্ঞা করেছেন তা সফল করতে সমর্থও আছেন।
22
অতএব ;এই কারণে তাঁর বিশ্বাস ধার্মিকতা বলিয়া গণিত হইল।
23
এখন তাঁর জন্য গন্য হইল বলিয়া এটা যে কেবল তাঁর জন্য লেখা হয়েছে তা নয় ,
24
কিন্তু আমাদের জন্যও তা গণ্য হবে, কারণ যিনি আমাদের প্রভু যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন আমরা তাঁর উপরে বিশ্বাস করছি।
25
সেই যীশু আমাদের পাপের জন্য সমর্পিত হইলেন এবং আমাদের নির্দোষ করার জন্য পুনরায় জীবিত হইলেন।