যীশু ভবিষৎবাণী করেছিলেন যে মন্দিরের একটা পাথরও আরেকটা পাথরের ওপরে বাকি থাকবে না যা ভেঙ্গে ফেলা হবে না .
শিষ্যরা যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন কখন এই বিষয় ঘটবে এবং তাঁর আগমনের এবং যুগান্তের চিহ্ন কি .
যীশু বলেছেন অনেকে আমার নাম ধরে আসবে বলবে আমি সেই খ্রীষ্ট এবং অনেককে বিপথে নিয়ে যাবে.
যীশু বলেছেন যে যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ এবং ভূমিকম্প হল যন্ত্রণার শুরুমাত্র.
যীশু বলেছেন যে বিশ্বাসীরা কঠোর যন্ত্রণা ভোগ করবে, কিছু বাধা পাবে এবং একে অপরকে বিশ্বাসঘাতকতা করবে এবং কিছু জনার হৃদয়ে বিষাদ জন্মাবে.
যীশু বলেছেন যে কেউ শেষ পর্যন্ত সহ্য করবে সে রক্ষা পাবে.
শেষ আসার আগে সমস্ত পৃথিবীতে রাজ্যের এই সুসমাচার প্রচারিত হবে .
যীশু বলেছেন বিশ্বাসীদের উচিত পাহাড়ে পালিয়ে যাওয়া.
ওই দিনগুলোতে, ভয়ানক কষ্টের দিন, জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যেমন হয় নি তেমন হবে .
মিথ্যা খিষ্টেরা এবং মিথ্যা ভাববাদীরা মহান চিহ্ন এবং আশ্চর্য কাজ দেখাবে অনেককে ভুলপথে চালনা করার জন্য.
মনুষ্য-পুত্র আসার সময়টা হবে ঠিক যেমন বিদ্যুৎ পূর্ব থেকে পশ্চিমে চমকায় সেরকম হবে.
সূর্য এবং চাঁদ অন্ধকার হয়ে যাবে এবং তারারা আকাশ থেকে পরবে.
পৃথিবীর সমস্ত জাতিরা তখন তাদের বুক চাপড়াবে করবে.
তূরীধ্বনির মহা শব্দ শোনা যাবে যখন দূতেরা মনোনীতদের জড়ো করবে.
যীশু বলেছেন যে এই প্রজন্মের লোপ হবে না যতক্ষণ না এই সমস্ত ঘটবে.
যীশু বলেছেন যে স্বর্গ ও পৃথিবীর লোপ হবে, কিন্তু তাঁর বাক্যের লোপ কখনো হবে না.
শুধু পিতা জানেন কখন এই ঘটনা ঘটবে.
লোকেরা খাবার খাবে এবং পান করবে, বিয়ে করবে আর বিবাহিত হবে, আসন্ন বিচারের বিষয়ে কিছুই জানবে না যা তাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাবে.
যীশু বলেছেন যে তাঁর বিশ্বাসীদের অবশ্যই সব সময় তৈরী থাকতে হবে, কারন তারা জানে না যে কোন দিনে প্রভু আসবে.
একজন বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাস তার মালিকের রাড়ি যত্ন সহকারে দেখাশুনা করবে যখন তার মালিক বাড়ির বাইরে থাকে.
যখন তিনি ফিরে আসবেন, মালিক সেই বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাসকে তার বাড়ির সব কিছুর উপর নিযুক্ত করবেন .
একজন মন্দ দাস তার সহ দাসকে মারে এবং ভোজন ও পান করে মাতালদের সঙ্গে যে সময়ে তার মালিক বাড়ির বাইরে থেকে.
যখন তিনি ফিরে আসবেন, মালিক সেই মন্দ দাসকে দু-টুকরো করে কাটবেন এবং তাকে পাঠাবেন সেখানে, যেখানে কান্না এবং দাঁতে দাঁত ঘষা হয় .