15 তখন ফরীশীরা গিয়ে পরিকল্পনা করল, কিভাবে তাঁকে কথার ফাঁদে ফেলা যায়। 16 আর তারা হেরোদীয়দের সঙ্গে তাদের শিষ্যদের দিয়ে তাঁকে বলে পাঠাল, "গুরু, আমরা জানি, আপনি সত্যবাদী এবং সঠিক ভাবে ঈশ্বরের পথের বিষয় শিক্ষা দিচ্ছেন এবং আপনি কাউকে ভয় পাননা, কারণ আপনি লোকেরা কে কি বলল সে কথায় বিচার করবেন না। 17 ভাল, আমাদের বলুন, আপনার মত কি? কৈসরকে কর দেওয়া উচিত কি না?" 18 কিন্তু যীশু তাদের ফাঁদ বুঝতে পেরে বললেন, "ভণ্ডরা, আমার পরীক্ষা কেন করছ? 19 সেই করের পয়সা আমাকে দেখাও।" তখন তারা তাঁর কাছে একটি দিনার আনল। 20 তিনি তাদের বললেন, "এই মূর্তি ও এই নাম কার?" তারা বলল, "কৈসরের।" 21 তখন তিনি তাদের বললেন, "তবে কৈসরের যা কিছু, তা কৈসরকে দাও, আর ঈশ্বরের যা কিছু, তা ঈশ্বরকে দাও।" 22 এই কথা শুনে তারা আশ্চর্য্য হল এবং তাঁর কাছ থেকে চলে গেল।
23 সেই দিন সদ্দূকীরা, যারা বলে মৃত্যু থেকে জীবিত হয় না, তারা তাঁর কাছে এলো। 24 এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, "গুরু, মোশি বললেন, কেউ যদি সন্তান ছাড়া মারা যায়, তবে তার ভাই তার স্ত্রীকে বিয়ে করে তার ভাইয়ের জন্য বংশ রক্ষা করবে। 25 ভাল, আমাদের মধ্যে কোনো একটি পরিবারে সাতটি ভাই ছিল, প্রথম জন বিয়ের পর মারা গেল এবং সন্তান না হওয়ায় তার ভাইয়ের জন্য নিজের স্ত্রীকে রেখে গেল। 26 এইভাবেই দ্বিতীয় জন তৃতীয় জন করে সাত জনই তাকে বিয়ে করল। 27 সবার শেষে সেই স্ত্রীও মরে গেল। 28 অতএব মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ার সময় ঐ সাত জনের মধ্যে সে কার স্ত্রী হবে? সবাই তো তাকে বিয়ে করেছিল।" 29 যীশু এর উত্তরে তাদের বললেন, "তোমরা ভুল বুঝছ, কারণ তোমরা না জান শাস্ত্র, না জান ঈশ্বরের ক্ষমতা, 30 কারণ মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে লোকে বিয়ে করে না এবং তাদের বিয়ের দেওয়াও হয় না, বরং স্বর্গে ঈশ্বরের দূতদের মতো থাকে। 31 কিন্তু মৃতদের মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ার বিষয়ে ঈশ্বর তোমাদের যা বলেছেন, তা কি তোমরা শাস্ত্রে পড়নি?" 32 তিনি বলেন, "আমি অব্রাহামের ঈশ্বর, ইসহাকের ঈশ্বর, ও যাকোবের ঈশ্বর," (এই লোকগুলি মৃত্যুর অনেক পরে ঈশ্বর এই কথাগুলি বলেছেন) ঈশ্বর মৃতদের নন, কিন্তু জীবিতদের। 33 এই কথা শুনে লোকেরা তাঁর শিক্ষাতে অবাক হয়ে গেল।
34 ফরীশীরা যখন শুনতে পেল, তিনি সদ্দূকীদের নিরুত্তর করেছেন, তখন তারা একসঙ্গে এসে জুটল। 35 আর তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি, একজন ব্যবস্থার গুরু, পরীক্ষা করার জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, 36 "গুরু, ব্যবস্থার মধ্যে কোন আদেশটি মহান?" 37 তিনি তাকে বললেন, "তোমার সমস্ত হৃদয়, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত মন দিয়ে তোমার ঈশ্বর প্রভুকে ভালবাসবে," 38 এটা মহান ও প্রথম আদেশ। 39 আর দ্বিতীয় আদেশটি হলো, "তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসবে।" 40 এই দুটি আদেশেই সমস্ত ব্যবস্থা এবং ভাববাদীদের বই নির্ভর করে।
41 আর ফরীশীরা একত্র হলে যীশু তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, 42 "খ্রীষ্টের বিষয়ে তোমাদের কি মনে হয়, তিনি কার সন্তান?" তারা বলল, "দায়ূদের।" 43 তিনি তাদের বললেন, "তবে দায়ূদ কিভাবে আত্মার আবেশে তাঁকে প্রভু বলেন?" তিনি বলেন,- 44 "প্রভু আমার প্রভুকে বললেন, তুমি আমার ডান পাশে বস, যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদেরকে তোমার পা রাখার জায়গায় পরিণত করি।" 45 অতএব দায়ূদ যখন তাঁকে প্রভু বলেন, তখন তিনি কিভাবে তাঁর সন্তান? 46 তখন কেউ তাঁকে কোন উত্তর দিতে পারল না, আর সেই দিন থেকে তাঁকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করতে কারও সাহস হল না।