21
হেরোদ রাজার সময়ে যিহূদিয়ার বৈৎলেহমে যীশুর জন্ম হলে পর, দেখ, পূর্ব্বদেশ থেকে কয়েক জন পণ্ডিত,
2
যিরুশালেমে এসে বললেন, “ইহূদিদের যে রাজা জন্মেছেন, তিনি কোথায়?” কারণ আমরা পূর্ব্বদেশে তাঁর তারা দেখেছি ও তাঁকে প্রণাম করতে এসেছি।
3
এই কথা শুনে হেরোদ রাজা অস্থির হলেন ও তাঁর সাথে সমস্ত যিরুশালেমও অস্থির হল।
4
আর তিনি সমস্ত প্রধান যাজক ও লোক সাধারণের শিক্ষা গুরুদেরকে একসাথে করে তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “খ্রীষ্ট কোথায় জন্মাবেন?”
5
তারা তাঁকে বললেন, “যিহূদিয়ার বৈৎলেহমে,” কারণ ভাববাদীর মাধ্যমে এইভাবে লেখা হয়েছে,
6
“আর তুমি, হে যিহূদা দেশের বৈৎলেহম, তুমি যিহূদার শাসনকর্তাদের মধ্যে কোন মতে একেবারে ছোট নও, কারণ তোমার থেকে সেই অধ্যক্ষ উৎপন্ন হবেন, যিনি আমার প্রজা ইস্রায়েলকে পালন করবেন।”
7
তখন হেরোদ সেই পণ্ডিতদের গোপনে ডেকে, ঐ তারা কোন সময়ে দেখা গিয়েছিল, তা তাঁদের কাছে বিশেষভাবে জেনে নিলেন।
8
পরে তিনি তাদের বৈৎলেহমে পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, “তোমরা গিয়ে বিশেষভাবে সেই শিশুর খোঁজ কর; দেখা পেলে আমাকে খবর দিও, যেন আমিও গিয়ে তাঁকে প্রণাম করতে পারি।”
9
রাজার কথা শুনে তাঁরা চলে গেলেন, আর দেখ, পূর্ব্বদেশে তাঁরা যে তারা দেখেছিলেন, তা তাদের আগে আগে চলল, শেষে যেখানে শিশুটি ছিলেন, তাঁর উপরে এসে থেমে গেল।
10
তারাটি দেখতে পেয়ে তারা মহানন্দে খুব উল্লাসিত হলেন।
11
পরে তাঁরা ঘরের মধ্যে গিয়ে শিশুটিকে তাঁর মা মরিয়মের সাথে দেখতে পেলেন ও উপুড় হয়ে তাঁকে প্রণাম করলেন এবং নিজেদের বাক্স খুলে তাঁকে সোনা, ধুনো ও গন্ধরস উপহার দিলেন।
12
পরে তাঁরা যেন হেরোদের কাছে ফিরে না যান, স্বপ্নে এই আদেশ পেয়ে, অন্য পথ দিয়ে নিজেদের দেশে চলে গেলেন।
মিশরে চলে গেলেন।
13
তাঁরা চলে গেলে পর, দেখ, প্রভুর এক দূত স্বপ্নে যোষেফকে দর্শন দিয়ে বললেন, ওঠ, শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে মিশরে পালিয়ে যাও; আর আমি যত দিন তোমাকে না বলি, ততদিন সেখানে থাক; কারণ হেরোদ শিশুটিকে হত্যা করার জন্য তাঁর খোঁজ করবে।
14
তখন যোষেফ উঠে রাত্রিবেলায় শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে মিশরে চলে গেলেন,
15
এবং হেরোদের মৃত্যু পর্যন্ত সেখানে থাকলেন, যেন ভাববাদীর মাধ্যমে বলা প্রভুর এই কথা পূর্ণ হয়, “আমি মিশর থেকে নিজের ছেলেকে ডেকে আনলাম।”
16
পরে হেরোদ যখন দেখলেন যে, তিনি পণ্ডিতদের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন, তখন খুব রেগে গেলেন এবং সেই পণ্ডিতদের কাছে বিশেষভাবে যে সময় জেনে নিয়েছিলেন, সেই অনুসারে দুবছর ও তার অল্প বয়সের যত বালক বৈৎলেহম ও তার সমস্ত পরিসীমার মধ্যে ছিল, লোক পাঠিয়ে তিনি সবাইকে হত্যা করালেন।
17
তখন যিরমিয় ভাববাদী মাধ্যমে বলা এই কথা পূর্ণ হল,
18
“রামায় শব্দ শোনা যাচ্ছে, হাহাকার ও খুব কান্নাকাটি; রাহেল নিজের সন্তানদের জন্য কান্নাকাটি করছেন, সান্ত্বনা পেতে চান না, কারণ তারা নেই।”
নাসরতে ফিরে গেলেন।
19
হেরোদের মৃত্যু হলে পর, দেখ, প্রভুর এক দূত মিশরে যোষেফকে স্বপ্নে দর্শন দিয়ে বললেন,
20
ওঠ, শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে ইস্রায়েল দেশে যাও; কারণ যারা শিশুটিকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল, তারা মারা গিয়েছে।
21
তাতে তিনি উঠে শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে ইস্রায়েল দেশে এলেন।
22
কিন্তু যখন তিনি শুনতে পেলেন যে, আর্খিলায়ের বাবা হেরোদের পদে যিহূদিয়াতে রাজত্ব করছেন, তখন সেখান যেতে ভয় পেলেন; পরে স্বপ্নে আদেশ পেয়ে গালীল প্রদেশে চলে গেলেন,
23
এবং নাসরৎ নামে শহরে গিয়ে বসবাস করলেন; যেন ভাববাদীর মাধ্যমে বলা এই কথা পূর্ণ হয় যে, তিনি নাসরতীয় বলে পরিচিত হবেন।