14 পরে, তাঁরা লোকদের কাছে এলে এক ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে হাঁটু গেঁড়ে বলল, 15 "প্রভু, আমার ছেলেকে দয়া করুন, কারণ সে মৃগী রোগে আক্রান্ত এবং খুবই কষ্ট পাচ্ছে, আর সে বার বার জলে ও আগুনে পড়ে যায়। 16 আর আমি আপনার শিষ্যদের কাছে তাকে এনেছিলাম, কিন্তু তাঁরা তাকে সুস্থ করতে পারলেন না।" 17 যীশু বললেন, "হে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী বংশ, আমি কত দিন তোমাদের সঙ্গে থাকব? কত দিন তোমাদের ভার বহন করব?" তোমরা ওকে এখানে আমার কাছে আন। 18 পরে যীশু ভুতকে ধমক দিলেন, তাতে সেই ভূত তাকে ছেড়ে দিল, আর সেই ছেলেটি সেই মুহূর্তেই সুস্থ হল। 19 তখন শিষ্যেরা গোপনে যীশুর কাছে এসে বললেন, "কি জন্য আমরা ওর মধ্যে থেকে ভূত ছাড়াতে পারলাম না?' 20 তিনি তাঁদের বললেন, "কারণ তোমাদের বিশ্বাস অল্প বলে। কারণ আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যদি তোমাদের একটি সরষে দানার মতো বিশ্বাস থাকে, তবে তোমরা এই পাহাড়কে বলবে, 21 ‘এখান থেকে ঐখানে যাও,’ আর সেটা সরে যাবে এবং তোমাদের অসাধ্য কিছুই থাকবে না।"
22 যখন তাঁরা গালীলে একসঙ্গে ছিলেন তখন যীশু তাঁদের বললেন, মানবপুত্র লোকেদের হাতে সমর্পিত হবেন 23 এবং তারা তাঁকে মেরে ফেলবে, আর তৃতীয় দিনে তিনি পুনরায় জীবিত হয়ে উঠবেন। এই কথা শুনে তাঁরা খুবই দুঃখিত হলেন।
24 পরে তাঁরা কফরনাহূমে এলে, যারা আধূলো, অর্থাৎ ঈশ্বরের মন্দিরের কর আদায় করত, তারা পিতরের কাছে এসে বলল, "তোমাদের গুরু কি আধূলো (মন্দিরের কর) দেন না?" তিনি বললেন, "হ্যাঁ দেন।" 25 পরে তিনি বাড়িতে এলে যীশুই আগে তাঁকে বললেন, "শিমোন, তোমার কি মনে হয়? পৃথিবীর রাজারা কাদের থেকে কর বা রাজস্ব আদায় করে থাকেন? কি নিজের সন্তানদের কাছ থেকে, না অন্য লোকেদের কাছ থেকে?" 26 পিতর বললেন, "অন্য লোকদের কাছ থেকে।" তখন যীশু তাঁকে বললেন, "তবে সন্তানেরা স্বাধীন।" 27 তবুও আমরা যেন ঐ কর আদায়কারীদের অপমান বোধের কারণ না হই, এই জন্য তুমি সমুদ্রে গিয়ে বঁড়শি ফেল, তাতে প্রথমে যে মাছটি উঠবে, সেটা ধরে তার মুখ খুললে একটি মুদ্রা পাবে, সেটা নিয়ে আমার এবং তোমার জন্য ওদেরকে কর দাও।